সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতি পক্ষের বর্বর হামলায় সিভিল সার্জন অফিসের নৈশপ্রহরী ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলো আজাদ বক্স (৫৫), তার ছেলে হারুন বক্স(৩০)। আহতরা পৌর শহরের আফতাব নগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আফতাবনগর এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে মনছুর মিয়া, সহোদর বিল্লাল মিয়া বাহিনিরা সদর হাসপাতালের অফিস সহকারি ইকবাল হোসেনের প্ররোচনায় দেশীয় প্রাণনাশক অস্ত্র দিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের ২য় তলায় অনধিকার প্রবেশ করে নৈশপ্রহরী ও তার ছেলেকে এলোপাতারী মারধর করে রক্তাক্ত ও জখম প্রাপ্ত করে। আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার মনসুর তাদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে জরুরী বিভাগের মেঝেতে ফেলে রাখে। পরে আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে এসে ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করলে ডাক্তার আহতদের জখমী চিকিৎসা না দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি না করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন রোগীর স্বজনরা ভর্তি করার জন্য বললে তিনি বলেন আমি পারব না, সিভিল সার্জন আমাকে ফোন দিয়ে বললে আমি ভর্তি করব। হাসপাতালে মনসুর বাহিনির ভয়ে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসাও নিতে পারছেনা, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। উল্লেখ্য, অফিস সহকারি ইকবাল হোসেনের চত্রছায়ায় সদর হাসপাতালে ডোম পদে একাধিক লোক থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে মনসুর মিয়া অবৈধভাবে সরকারি নিয়মনীতি না মেনে ডোমের দায়িত্ব পালন করে আসছে। সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে নিয়ে এলে সে প্রত্যেকটি লাশের স্বজনদের কাছ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে লাশ অর্ধেক কেটে সেলাই না করে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে আহত আজাদ বক্স বাদী হয়ে মনসুর মিয়া, বিল্লাল মিয়া, আকবর মিয়া, রাজু মিয়াকে অভিযুক্ত করে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আশুতোষ দাস জানান, আমি শুনেছি সদর হাসপাতাল পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। আমি হাসপাতালে বলে দিয়েছি তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য। আমি ঢাকা থেকে এসে চেষ্টা করব তাদের মারামারীর বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শহীদুল্লাহ খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে আহত হারুন বক্স জানান, মনসুর ও তার বাহিনীরা অবৈধভাবে সিভিল সার্জন অফিসে ডুকে অন্যায় ভাবে আমাকেও আমার বাবাকে মারধর করে। আড়াল থেকে এ ঘটনার সাথে অফিস সহকারি ইকবাল জড়িত রয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।